পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষায় সেমিস্টার পদ্ধতি: একটি বড় পরিবর্তন 2024 সুরুতে পশ্চিমবঙ্গ নতুন শিক্ষা নীতি শুরু হতে যাচ্ছে ?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে একটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিস্টার ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন আরও উন্নত ও কার্যকর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটি কেবল একটি পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন নয়, বরং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির দিকেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শুরুতেই ভালো ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার চাপ কমানো, নিয়মিত মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের অগ্রগতি বোঝা এবং শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতা আরও বাড়ানো।
নতুন সেশন শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই বড় ধামাকা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায়! সেমিস্টার সিস্টেম শুরু হতে চলেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতেও। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবছর দুটি করে সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে।
সেমিস্টার পদ্ধতির নিয়মপ্রতি

শ্রেণিতে দুটি সেমিস্টারপ্রতিটি শিক্ষাবর্ষে দুটি সেমিস্টার থাকবে। প্রথম সেমিস্টার জুন-জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় সেমিস্টার জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চলবে।শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতিপ্রতি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের পড়া, লেখা, গণিত ও অন্যান্য বিষয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।
পরীক্ষার ফ্রিকোয়েন্সি এবং সময়সীমাসেমিস্টার পরীক্ষাগুলো প্রতি ৬ মাস অন্তর নেওয়া হবে এবং সময়সীমা নির্ধারিত হবে শ্রেণির উপর ভিত্তি করে।শিক্ষকদের ভূমিকাশিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের কার্যক্রম, উপস্থিতি এবং পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে হবে
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুসারে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য ‘নো ডিটেনশন’ পলিসি মোতায়েন রয়েছে। সেই কারণেই প্রাথমিক পর্যায় থেকেই সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ।
প্রতিবছরকে মোট দুটি সেমিস্টারে ভাগ করা হবে। যেখানে প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে প্রথম সেমিস্টার হবে এবং দ্বিতীয় ছয় মাস অর্থাৎ জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যবর্তী সময়ে দ্বিতীয় সেমিস্টারের পড়াশোনা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু new update
পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থায় একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন থেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা।
সেমিস্টার পদ্ধতির মূল লক্ষ্য
পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যেই এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন। ফলে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষা চালু করার প্রস্তুতি চলছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ক্লাসের নিয়মিত পাঠ্যক্রম শেষ করার দিকে মনোযোগ না দিয়ে, তাদের দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষার লক্ষ্যে তৈরি করা হবে।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি
পশ্চিমবঙ্গ সরকার মনে করে যে শিক্ষার্থীদের শৈশব থেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে তারা পরবর্তী সময়ে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বা আরও বড় মাপের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনের জন্য মজবুত ভিত্তি তৈরি করতে পারবে।
সর্বজনীন নীতি প্রয়োগ:
সেমিস্টার পদ্ধতি শুধুমাত্র একটি বা দুটি বিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই এটি চালু হবে।সর্বাঙ্গীণ শিক্ষা ব্যবস্থা: এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান ছাড়াও তাদের সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং মানসিক স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
পদ্ধতির সাফল্যের চাবি কাঠি সরকার আশা করছে, এই নতুন শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করবে। তবে, এর সফলতা নির্ভর করবে শিক্ষকদের দক্ষতা, অভিভাবকদের সমর্থন এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর।সার্বিকভাবে, সেমিস্টার পদ্ধতি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে। এটি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে না, বরং রাজ্যের শিক্ষার মানকেও আরও উন্নত করবে।
New update
পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা হবে। এই নতুন ব্যবস্থায়, শিক্ষাবর্ষকে তিনটি সেমিস্টারে ভাগ করা হবে।
প্রতি সেমিস্টার চলবে চার মাস করে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মূল্যায়ন করা হবে এবং তাদের শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ কমবে এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।